বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

চলতি বছর বাংলাদেশে যৌতুকের বলি ৫১ নারী….!

চলতি বছর বাংলাদেশে যৌতুকের বলি ৫১ নারী….!

স্বদেশ ডেস্ক: চলতি বছর (২০১৯) জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত যৌতুকের কারণে মোট ৮৮ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে। ২০১৮ সালে যৌতুকের কারণে মোট ১৯৫ জন নির্যাতনের শিকার হন। শারীরিক নির্যাতনের পর ৮৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। মহিলা আইনজীবী সমিতি জানায়, ১৭ বছরে ঢাকায় ৩৭৪ জন নারীকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক নিবন্ধন খাতার তথ্য বলছে, ঢাকায় ২০১৬ সালে ২৭ জন, ২০১৫ সালে ২৫ জন, ২০১৪ সালে ২২ জন, ২০১৩ সালে ৩০ জন, ২০১২ সালে ২৫ জন, ২০১১ সালে ২৬ জন এবং ২০১০ সালে ১৫ জন নারীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা দীপা চন্দ্র সূত্রধর (২৭)। দীপা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য দিলীপ সূত্রধরের মেয়ে। ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় তার স্বামী বিষ্ণু সূত্রধর শ্বশুরের পেনশন থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি আদায় না হওয়ায় স্ত্রীর ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে দীপার ছোট ভাই রাজীব চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় বিষ্ণু সূত্রধরকে আসামি করে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাকে আটক করেছে। আহত দীপার পরিবারের লোকজন জানায়, সম্প্রতি দীপার বাবা দিলীপ সূত্রধর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) এর সদস্য পদ থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের কিছু টাকা পেয়েছেন। দীপার স্বামী ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু দীপা এ কথা বাবাকে বলতে অস্বীকৃতি জানান। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষ্ণু তার শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়ায় আসেন। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে পরিবারের সবার সঙ্গে রাত ১টা পর্যন্ত সময় কাটান। রাত ৩টায় আকস্মিক চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রী দীপার ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে বিষ্ণু। এ সময় দীপা চিৎকার দিলে চাপাতির কোপ মুখের ডান গালে ও বাম হাতে লাগে। এতে গালের মাংস কেটে যায়। দীপাকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও পরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর ঢাকা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ বিষ্ণু রায়কে আটক করেছে।
ঢাকা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শরীফ বলেন, আহত দীপার ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার মুখের ডান পাশে লম্বালম্বিভাবে মাংস আলাদা হয়ে গেছে। আর বাম হাতও আঘাতপ্রাপ্ত। ঢাকায় যৌতুকের কারণে হত্যার কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে নির্যাতন করে খুন করলেও খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বা অসুস্থতা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি ফারুক আহম্মেদ বললেন, যৌতুকের কারণে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জোর চেষ্টা থাকে আসামিপক্ষের। আবার যৌতুকের দাবিতে স্বামী অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বহু নারী আত্মহত্যাও করেন।
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদীঘোনা এলাকার মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে জুলেখা বেগম (২০) বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। বিগত ৭ মাস আগে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মো. ইসমাঈলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কাবিননামা আকদ সম্পাদন হয়। মেয়ের পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় আকদ ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও যেতে পারেনি স্বামীর বাড়িতে। এদিকে স্বামী মো. ইসমাঈল ও জুলেখা বেগমের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় শুক্রবার (৭ জুন) ভোরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পিতার বাড়িতে ওঠেন স্বামী মো. ইসমাঈল। কিন্তু যৌতুক ছাড়াই বউকে ঘরে তোলায় মো. ইসমাঈলকে অনেক বকাঝকা করে তার পরিবারের সদস্যরা। এতে রাগে ক্ষোভে বিষপান করে স্ত্রী জুলেখা বেগম। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী মো. ইসমাঈল ও পিতা আমির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। মেয়ের পিতা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ৭ মাস আগে ইসমাঈলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কাবিন ও আকদ সম্পন্ন করে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। ১ লাখ ২০ টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা ছিল। যখন বিয়ে হয় তখন ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। বাকি টাকা দিতে না পারায় মেয়ে স্বামীর বাড়িতে যেতে পারেনি। এরই মাঝে মেয়ে দেড় মাস আগে স্বামীর বাড়িতে চলে গেলে মারধর করে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সর্বশেষ আমরা ক্ষেতের কাজ করতে চলে গেলে স্বামী এসে তাকে নিয়ে যায়। সকাল ৯টায় জানতে পারি আমার মেয়েকে মৃত অবস্থায় আমার বাড়িতে রেখে চলে গেছেন।
এ বছরের ৩ জুলাই মারা গেছেন শারমিন আক্তার। শারমিনের বাবা মো. বাছেরের অভিযোগ, ৫০ হাজার টাকা যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী আমির হোসেন তার মেয়েকে হত্যা করেছে। মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাশের একটি বাসায় শারমিন আক্তারকে (২১) হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্বামী আমির হোসেন শারমিনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পুলিশ কনস্টেবল আবদুল আলীম ও তার বন্ধু শামীমকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। ৫ আগস্ট দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের হাকিম খালেদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়াও উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। দ-প্রাপ্তরা হলেন, কালিহাতী উপজেলার হিন্নাইপাড়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল আবদুল আলীম ওরফে সুমন (৩২) এবং তার বন্ধু একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে শামীম আল মামুন (২৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ জানান, দ-িত পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল আলীম শিল্প পুলিশে কর্মরত অবস্থায় ২০১১ সালের ৬ মে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ফলিয়ারঘোনা গ্রামের সুলতান আহমেদের মেয়ে সুমি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুমির বাবা তিন লাখ টাকা দিলেও বাকি ছিল ২ লাখ টাকা। যৌতুকের বাকি টাকার জন্য আবদুল আলীম প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রী সুমি আক্তারকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আলীম তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ঢাকার তুরাগ থানার বেড়িবাঁধ এলাকায় নিয়ে বন্ধু শামীম আল মামুনের সহায়তায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট দীপ্তি শিকদার বলেন, যৌতুকের নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা সহ্য করতে না পেরে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এসব কারণে একজন নারীর মধ্যে হতাশা বেশি থাকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) পরিচালক বিলকিস বেগম জানান, বর্তমানে (জুলাই) এ সেন্টারে মোট ৭ জন নারী নির্যাতনের কারণে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনই যৌতুকের কারণে স্বামীর হাতে নির্যাতিত হন।
আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার বললেন, যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার নারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিতে আসা নারীদের মধ্যে দেখা যায়, যৌতুকের কারণে কারও গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছে, কাউকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে ১ জুন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে শিরিনা (২২) নামে এক নারীকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দগদগে ক্ষত সত্ত্বেও শশুরবাড়িতে রেখেই স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছয় দিন পর বাবা গিয়ে শিরিনাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শিরিনার শরীরের ১৩ শতাংশ পুড়ে (ডিপ বার্ন) গেছে। তার মুখের বাঁ পাশ, বাঁ হাত, বুক, পেট ও কোমর ঝলসে গেছে। এ দুর্ঘটনায় শিরিনার বাবা আবদুল হাই পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেনÑ শিরিনার শ্বাশুড়ি হাসিনা খাতুন, দেবর মিজানুর ও মো. ফারুক। আরও আসামি করা হয়েছে স্বামী শরীফ মিয়া ও শ্বশুর শাহাবউদ্দীনকে। শিরিনা তার জবানবন্দিতে বলেছেন, শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে চেপে ধরে আর স্বামী তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাবা আবদুল হাই সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের সময় জামাতাকে ৭৫ হাজার টাকা ও দামি সামগ্রী দেওয়া হয়। তবুও যৌতুকের জন্য শিরিনাকে নির্যাতন করা হতো। প্রথমে শিরিনার স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা শিরিনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বাধা দেয়। শিরিনার বাবা গ্রামের লোকজন নিয়ে শিরিনাকে হাসপাতালে আনেন। শিরিনা দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ছিলেন। যৌতুকের কারণে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় এমন রোগীর সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে (১৯ আগস্ট, ২০১৯) বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ২৪৫ জন নারী। তাদের ২০ শতাংশ নারী নির্যাতন তথা যৌতুকের কারণে দগ্ধ হয়ে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুধু লোভের কারণে নারীদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা প্রসঙ্গে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, এ বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। এটি অমানবিক। আমাদের এখানে যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশই বেশ নাজুক অবস্থায় আসে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি তাদের ভালো করে তুলতে। যেদিন আর কেউ নির্যাতিত হয়ে বার্ন ইউনিটে না আসবে সেদিন আমরা খুশিই হবো।
সাজা মাত্র ৩ শতাংশ: ২০১৯ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৫১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে ঢাকায় মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। (রোববার ৯ জুন ২০১৯) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা ঢাকায়। ১৩ হাজার ৭৭৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে রাজধানী কেন্দ্রিক এ জেলার ৯টি ট্রাইব্যুনালে। তবে যৌতুকের কারণে ঢাকায় যে হারে নারী হত্যার শিকার হচ্ছেন, সে অনুপাতে সাজার হার খুব কম। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক নিবন্ধন খাতার তথ্য বলছে, ২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিষ্পত্তি হওয়া যৌতুকের জন্য হত্যা মামলার মাত্র ৩ শতাংশের সাজা হয়েছে।
এদিকে নারীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার সংগঠন নারীপক্ষের সর্বশেষ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ৯৮ দশমিক ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সাজা হয় মাত্র ১ দশমিক ৩৬ ভাগ আসামির। বাদী ও আসামিপক্ষের আপস-মীমাংসা, বিচারের ধীরগতি, তদন্তে গাফিলতি, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাক্ষীর আদালতে হাজির না হওয়া, যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ না থাকাসহ নানা কারণে এসব মামলায় আসামিরা খালাস পেয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ঢাকার দুটি এবং জামালপুর, ঝিনাইদহ, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের ৬০টি মামলা পর্যালোচনা করে বিশ্লেষণমূলক এ প্রতিবেদন তৈরি করে নারীপক্ষ।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বললেন, যৌতুকের মামলাগুলো ভালোভাবে তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে দক্ষ সরকারি কৌঁসুলি দরকার। সালমা আলীর মতে, যৌতুক বন্ধে আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্রকে নির্যাতনের শিকার নারীর পাশে দাঁড়াতে হবে। নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877